Electronics and Communication Engineering
Streams – Engineering & Architecture

বিশ্বায়নের যুগে কোনো দূরত্বই আর দূরত্ব নয়। প্রযুক্তির উন্নয়ন গোটা বিশ্বকেই যেন এক অদৃশ্য সুতোয় বেঁধে দিয়েছে। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। স্মার্ট ফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্রান্সমিটার, সার্কিটসহ একাধিক জিনিস আমাদের জীবনযাত্রাকে শুধু সহজই করেনি, একই সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে করে তুলেছে আরো শক্তিশালী।

আমাদের গৃহমুখী জীবন প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বাড়ি বসে গোটা বিশ্বকে জানতে পারছে। আর এই কাজে প্রধানত যারা মূল ভূমিকা নিচ্ছেন তারা হলেন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার। তাই এই পেশার ভবিষ্যত উজ্জ্বল।

Table of Contents

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কি?

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংকে সংক্ষেপে ECE বলা হয়।

“ইলেকট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সাধারণত ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলির সাথে কাজ করে। এটি হার্ডওয়্যার এবং তথ্য প্রযুক্তির একটি ইন্টারফেস।”


আমাদের Facebook পেজ লাইক করার অনুরোধ রইল। ↓


ট্রানজিস্টর বা ছোট ছোট বিভিন্ন যন্ত্র, মেশিন, সার্কিট (circuit), ইলেকট্রন (electrons), তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ (electromagnetic wave), কম ভোল্টেজের বিভিন্ন মেশিনারি (low voltage machineries), আইপড (ipod) এবং মোবাইল (mobile) কিভাবে কাজ করে এই ধরনের বিষয়গুলিতে আগ্রহ থাকলে ECE তোমাদের জন্য ভালো বিষয়।

ECE হল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি evergreen বিষয়। ইলেকট্রনিক্সের বিভিন্ন উপাদান (components) যেমন, মাইক্রোপ্রসেসর (microprocessor) বা র‍্যাম (ram) কিভাবে কাজ করে এবং নিজেদের মধ্যে কিভাবে সংযোগস্থাপন করে সেটাই হল এই Electronics Communication Engineering এর মূল বিষয়।

বড় বড় টেক জায়ান্ট (Tech Giant) যে কোম্পানিগুলি রয়েছে, সেই কোম্পানিগুলিতে ECE র সুযোগ যথেষ্টই ভালো। আমাদের আধুনিক পৃথিবী যে Global Village এ পরিণত হয়েছে, তার অন্যতম প্রধান কারণ Electrical এবং Electronics যন্ত্রপাতির যথেষ্ট ব্যবহার।

careerbondhu.com whatsapp channel

কিভাবে পড়বো ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স?

Diploma in Electronics and Communication Engineering

ডিপ্লোমা কোর্স মাধ্যমিকের পর তিন বছরের হয়। মাধ্যমিক বা সমতুল (10) পরীক্ষার পরে রাজ্যভিত্তিক প্রবেশিকা (যেমন JEXPO) পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে ডিপ্লোমা কোর্স করা যায়। প্রসঙ্গত তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করে ল্যাটারাল এন্ট্রি (lateral entry) (যেমন JELET) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সরাসরি B.Tech এর দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হওয়া যায়।


JELET ও JEXPO প্রবেশিকা পরীক্ষা সম্পর্কে জেনে নাও↓

JELET প্রবেশিকা পরীক্ষা কি?
JEXPO প্রবেশিকা পরীক্ষা কি?


B.Tech in Electronics and Communication Engineering

ডিগ্রি কোর্স অর্থাৎ B.Tech কোর্সের সময়সীমা চার বছরের। উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল (10+2) পরীক্ষার পরে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা (JEE Main), রাজ্যভিত্তিক প্রবেশিকা পরীক্ষা (যেমন WBJEE) অথবা কলেজভিত্তিক পরীক্ষায় (যেমন VITEEE, BITSAT ইত্যাদি) উত্তীর্ণ হয়ে ভারতের বিভিন্ন কলেজে B.Tech in Electronics and Communication Engineering বা ECE পড়া যায়।

WBJEE-Exam-details
WBJEE পরীক্ষার খুঁটিনাটি তথ্য

M.Tech in Electronics and Communication Engineering

M.Tech কোর্সের সময়সীমা দুই বছরের হয়। B.Tech করা সম্পূর্ণ হলে দুই বছরের জন্য স্নাতকোত্তর পর্বের পড়াশোনা করা যায়। এক্ষেত্রেও সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কি কি আছে?

পশ্চিমবঙ্গের কিছু বিখ্যাত কলেজ –
JIS College of Engineering, Kolkata.
• Bengal Institute of Technology, Kolkata.
Netaji Subhash Engineering College (NSEC), Kolkata.
Guru Nanak Institute of Technology (GNIT), Kolkata.
National Institute of Technology (NIT), Durgapur.
• University of Calcutta, Kolkata ইত্যাদি।

ভারতবর্ষের কিছু বিখ্যাত কলেজ –
• Indian Institute of Technology (IIT), Madras
• Manipal Institute of Technology (MIT), Manipal
• College of Engineering Pune (COEP)
• Vellore Institute of Technology (VIT), Vellore
• SRM University, Chennai
• Dayananda Sagar College of Engineering (DSCE), Bangalore
• Delhi Technological University (DTU), Delhi ইত্যাদি।

Electrical-engineering-course-details
ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পর্কে আলোচনা

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ফি কত?

Diploma কোর্স ফি – সরকারী প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা কোর্স করলে সেক্ষেত্রে কলেজের কোর্স ফি সাধারণত 10 হাজার থেকে 3 লাখ অবধি হতে পারে।
বেসরকারী কলেজে ডিপ্লোমা কোর্স করলে সেক্ষেত্রে কলেজের কোর্স ফি সাধারণত 2 লাখ থেকে 18 লাখ অবধি বা আরো বেশী হতে পারে।

B.Tech কোর্স ফি – সাধারণভাবে সরকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কলেজের কোর্স ফি 50 হাজার থেকে 12 লাখ অবধি হতে পারে।
বেসরকারী কলেজের ক্ষেত্রে কোর্স ফি 4 লাখ থেকে 23 লাখ অবধি বা আরো বেশী হতে পারে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই কোর্স ফী আলাদা আলাদা হয়।

careerbondhu.com telegram channel

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে কি কি পড়তে হয়?

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের প্রধান বিষয়গুলি হল,

• Calculus and Linear Algebra
• Engineering Physics
• Basic Electrical Engineering
• Elements of Civil Engineering and Mechanics
• Engineering Graphics
• Engineering Physics Laboratory
• Basic Electrical Engineering Laboratory
• Technical English

agricultural-engineering-course-details
এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ECE) কোর্সের ভবিষ্যৎ কেমন?

এটি ইঞ্জিনিয়ারিং এর এমনই একটি শাখা যেটির খুব দ্রুতহারে পরিবর্তন হচ্ছে এবং ক্রমশই এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ECE বলতে বোঝায় Core Electronics এবং Communication Engineering এই দুইয়ের সঠিক মেলবন্ধন। তাই বলা যায় এই কোর্সের ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল।

এই পেশায় যে বিভিন্ন ধরনের বিভাগে কাজ রয়েছে সেগুলি হল,

• Electronics Engineering
• Service Engineering
• Communications Engineering
• Desktop Support Engineering
• Technical Director
• Electronics Design Engineering
• Network Planning Engineering.


আরো পড়ো – মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স | Mechanical Engineering Course

কিছু বিখ্যাত কোম্পানি যেমন,

• Bharat Heavy Electrical Limited (BHEL)
• Oil and Natural Gas Corporation (ONGC)
• Gas Authority India Ltd (GAIL)
• Hindustan Aeronautics Limited (HAL)
• Indian Oil Corporation Limited (IOCL)
• Steel Authority of India (SAIL)
• Hindustan Petroleum Corporation Limited (HPCL)
• Vodafone (Telecommunications and networking)
• Micromax (Embedded systems) ইত্যাদি কোম্পানিগুলোতে কাজের সুযোগ আছে।

careerbondhu.com whatsapp channel

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পড়ে কি ধরনের চাকরি পাওয়া যায়?

এই সেক্টরে মূলত IT, Mobile Network এবং Instrumentation এই ক্ষেত্রগুলিতে চাকরির সুযোগ বেশি। এগুলি ছাড়াও Education Department, Industries, Medical, Defense, Research এবং Development Sector এও কাজের সুযোগ রয়েছে। সরকারী ক্ষেত্রগুলির থেকেও তুলনামূলকভাবে প্রাইভেট কোম্পানিগুলিতে সুযোগ বেশি।


আরো পড়ো – কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স | Computer Science Engineering Course

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স করে কি সরকারি চাকরি পাওয়া যায়?

কিছু যথেষ্ট ভালো সরকারি সংস্থা রয়েছে, যারা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশান ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ করে থাকেন – যেমন,

• MTNL
• BSNL
• BHEL
• ISRO
• GAIL
• NALCO
• Indian Railways
• Indian Ordnance Factories Services.
• Indian Defence Service of Engineers
• Central Engineering Service ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলিতে কাজের সুযোগ রয়েছে।

পর্ব সমাপ্ত!


নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য ফলো করুন

WhatsApp Channel | Telegram Channel | Facebook Page


কেরিয়ার ও ব্যবসা সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন থাকলে বা কি রকম ধরনের পোস্ট চাইছো, তা নীচের ছবিটায় ক্লিক করে জানাতে পারো↓

careerbondhu-telegram-channel

বিশেষ দ্রষ্টব্য

  • এই নিবন্ধে ব্যবহৃত তথ্য ইন্টারনেট, সংবাদ পত্র, পত্রিকা, প্রকাশিত রিপোর্ট ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। নিবন্ধে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোর্সের নাম ইত্যাদি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যাপারে আরো জানার জন্য এই পাতাটি পড়ে নেবার অনুরোধ রইল → Disclaimer
  • নিবন্ধটি আমরা যথাসম্ভব ত্রুটি মুক্ত রাখার চেষ্টা করেছি, তথ্যে কোনরূপ ত্রুটি চিহ্নিত হলে তা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হিসাবে গণ্য হবে, চিহ্নিত ত্রুটি এই পাতা থেকে তা আমাদের জানানো যেতে পারে → Report an error
error: Content is protected !!