Streams – Engineering & Architecture
Table of Contents
কম্পিউটার সায়েন্স কী?
কম্পিউটার সায়েন্স হল = (Computer + Science + Engineering)
বর্তমান যুগে কম্পিউটারের ব্যবহার বা উপযোগিতা নতুন করে বলবার কিছু নেই। একেবারে শুরু থেকেই ছাত্রছাত্রীদের কাছে কম্পিউটার বিষয়টি খুব জনপ্রিয়। কম্পিউটার সায়েন্স পড়াশোনার অন্যতম অংশ জুড়ে থাকে ‘প্রোগ্রামিং’।
কম্পিউটার কোডিং বা কম্পিউটারের বিভিন্ন কার্যপ্রণালী সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হলে এই বিষয় নিয়ে পড়তে তোমাদের কোন বাধা নেই।
আরো সংক্ষেপে বললে,
“The science that deals with the theory and methods of processing information in digital computers, the design of computer hardware and software, and the applications of computers.”
কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং কি?
এককথায় বলতে গেলে, এটি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স যেখানে কম্পিউটার সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের মেলবন্ধন সংক্রান্ত সমস্ত মূল বিষয়গুলি (fundamentals) শেখানো হয়।
মনে রাখতে হবে যে, একজন দক্ষ কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ার (Computer Science Engineer) হওয়ার জন্য নতুন কিছু ভাবার এবং খুব ভালো বিশ্লেষণের ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।
বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় বিষয় হলো কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং; বলা যায় যে আগামী দিনেও এর ভবিষ্যৎ যথেষ্ট উজ্জ্বল।
শুধু তাই নয় বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা মাথায় রেখে specialized কোর্স তৈরি করা হচ্ছে; যেমন –
- কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং – আর্টিফিসিয়াল ইনটালিজেন্স (CSE -Artificial Intelligence)
- কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং – ডাটা সায়েন্স (CSE -Data Science)
- কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বিজনেস সিস্টেম (Computer Science adn Business System)
- কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং – সাইবার সিকিউরিটি (Cyber Security) ইত্যাদি।
কিভাবে পড়ব কম্পিউটার সায়েন্স?
Diploma in Computer Science
এটি একটি তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স। মাধ্যমিক বা এর সমতুল (10) পরীক্ষার পরে রাজ্যভিত্তিক প্রবেশিকা (যেমন JEXPO) পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে ডিপ্লোমা কোর্স করা যায়।
প্রসঙ্গত তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করে lateral entry-এর (যেমন JELET) মাধ্যমে সরাসরি B Tech কোর্সের দ্বিতীয়বর্ষে ভর্তি হওয়া যায়।
B Tech in Computer Science
এটি একটি চার বছরের ডিগ্রি কোর্স। উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল (10+2) পরীক্ষার পরে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা (JEE Main), রাজ্যভিত্তিক প্রবেশিকা পরীক্ষা (যেমন WBJEE) অথবা কলেজভিত্তিক পরীক্ষায় (যেমন VITEEE, BITSAT ইত্যাদি) উত্তীর্ণ হয়ে ভারতের বিভিন্ন কলেজে B Tech in Computer Science Engineeraing বা CSE পড়া যায়।
M Tech in Computer Scicence
B Tech করা সম্পূর্ণ হলে দুই বছরের জন্য স্নাতকোত্তর পর্বের পড়াশোনা করা যায়। এক্ষেত্রেও সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ কি কি পড়তে হয়?
এখানে মূল যে বিষয়গুলি পড়তে হয়, সেগুলি হল,
- Operating System
- Design and Analysis of Algorithm
- Programming Languages
- Computer Software
- Database Management System
- Cryptography
- Microprocessor
- Mobile Communications ইত্যাদি।
Computer Science Engineering (CSE) কোর্সের ভবিষ্যৎ কেমন?
এই পেশার ভবিষ্যৎ যথেষ্ট ভালো। যেমন, software, telecommunication এবং computer designing কোম্পানিগুলোতে সহজেই কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। আমরা জানি আগামিদিনে Artificial Intelligence (AI) বা কৃত্তিম মেধার ব্যবহার বাড়তে চলেছে, এবং এই কাজে কম্পিউটার সায়েন্সের কর্মীরা বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন।
এই ইন্ডাস্ট্রির কিছু বিখ্যাত কোম্পানির নাম হল –
- Apple Inc.
- Microsoft
- Google LLC
- Facebook Inc.
- HP Inc. ইত্যাদি
আমরা কিছু নামকরা Computer Science Industrialists এর নাম জেনে নেব, এদের কাজ থেকে তোমরা অনুপ্রেরণা পাবে বা সঠিকভাবে বুঝতে পারবে কম্পিউটার সায়েন্সের পরিধি বা ব্যাপ্তি সম্পর্কে।
Civil Engineering Course | সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স
Mark Zuckerburg
Social Networking Side এর ব্যাপ্তি এবং গুরুত্ব যে কি বিশাল তা প্রমাণ করেছেন Mark Zuckerberg। বর্তমানে আমাদের দুনিয়া সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া একেবারেই অচল। কিন্তু এই আবিষ্কারের কৃতিত্ব যার সেই Zuckerburg, Harvard Students দের জন্য একটা নিজস্ব website বানাতে চেয়েছিলেন। সেই ভাবনা থেকেই প্রথম ফেসবুকের উদ্ভব।
Bill Gates
Bill Gates প্রথম তাঁর কাজ শুরু করেন Altair computer এর জন্য তাঁর ছোটবেলার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে। তাঁর সেই বন্ধুটির নাম ছিল Paul Allen। তারপর এই দুই বন্ধু একসাথে মিলে Microsoft শুরু করেন। তারপর বাকিটা ইতিহাস এবং আমাদের অনেকেরই জানা। খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে Microsoft কোম্পানির নাম। এরপরে আসে Microsoft Windows। সাফল্যের যাত্রা সেখানেও অব্যাহতই থাকে।
কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে কি কি কাজ করা যেতে পারে?
বেসরকারি বা সরকারি যে কোন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। যে ধরনের কাজের সুযোগ বেশী সেগুলি হল,
- User interface (UI) Designer
- Programmer
- Network administrator
- Information system analyst
- Computer support specialist
- Computer software Engineer
- Software Developer
- Web Developer ইত্যাদি
কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে কি সরকারী চাকরি পাওয়া যায়?
কম্পিউটার সায়েন্সে বি টেক (B. Tech) কোর্স করা থাকলে ভবিষ্যতে সরকারী চাকরির সুযোগও যথেষ্ট ভালো।
ভারতের যে সমস্ত কোম্পানিগুলি কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনীয়ার নিয়োগ করেন, তাদের মধ্যে কয়েকটির নাম হল –
- Indian Railway Under Signal section
- ISRO (Indian Space Research Organization)
- Defence Research and Development Organization
- AAI (Airport Authority of India)
- ECIL (Electronic Cooperation of India Ltd)
এছাড়াও Indian Railway-তেও Technical Assistant এবং Computer Operator-এ কাজের সুযোগ পাওয়া যায়।
একজন কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ার কেমন বেতন পেতে পারেন?
আমাদের দেশে একজন CSE ইঞ্জিনিয়ার কেরিয়ারের শুরুতে প্রাথমিকভাবে গড়ে ₹12,000 – ₹20,000 (প্রতিমাসে) বেতন পেতে পারেন। এরপর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাড়ার সাথে সাথে বেতনও বাড়তে থাকে। তবে মনে রাখতে হবে, কাজের জায়গা, কাজের ধরণ, কোম্পানির অভিজ্ঞতা এবং কর্মীর দক্ষতার উপরেই বেতন নির্ভরশীল।
পর্ব সমাপ্ত!
নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য ফলো করুন ↓
WhatsApp Channel | Telegram Channel | Facebook Page
বিশেষ দ্রষ্টব্য
- এই নিবন্ধে ব্যবহৃত তথ্য ইন্টারনেট, সংবাদ পত্র, পত্রিকা, প্রকাশিত রিপোর্ট ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। নিবন্ধে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোর্সের নাম ইত্যাদি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যাপারে আরো জানার জন্য এই পাতাটি পড়ে নেবার অনুরোধ রইল → Disclaimer।
- নিবন্ধটি আমরা যথাসম্ভব ত্রুটি মুক্ত রাখার চেষ্টা করেছি, তথ্যে কোনরূপ ত্রুটি চিহ্নিত হলে তা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হিসাবে গণ্য হবে, চিহ্নিত ত্রুটি এই পাতা থেকে তা আমাদের জানানো যেতে পারে → Report an error।