Streams – Engineering & Architecture | Chemical Engineering
আমাদের আগের একটি আর্টিকেলে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেলে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা বা Diploma in Chemical Engineering কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিং-এর একটি জনপ্রিয় শাখা হল কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি বা প্ল্যান্টগুলির যাবতীয় ডিজাইন, নতুন পণ্য উৎপাদন এবং তার কাজকর্মের পদ্ধতি নিয়ে পড়াশোনা করেন।
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে↓
Table of Contents
একনজরে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্স কোর্স
কোর্সের নাম (Name of Course) | Diploma in Chemical Engineering |
কি ধরনের কোর্স (Level of Course) | স্নাতক |
প্রবেশিকা (Entrance) | রাজ্যভিত্তিক - JEXPO (For West Bengal) |
কোর্সের শ্রেণি (Type of Course) | ডিপ্লোমা |
কোর্সের বিষয় (Field of Study) | কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং |
কোর্সের সময়সীমা (Course duration) | তিন বছর (3 years) |
কোর্স ফি (Course fee) | 10,000 থেকে 2 লক্ষ |
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্স পড়ার যোগ্যতা
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্স পড়ার জন্য নূন্যতম মাধ্যমিক বা সমতুল (10) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া আবশ্যক। সাধারণত এই পরীক্ষায় 50% নাম্বার প্রয়োজন হয়।
মাধ্যমিক বা সমতুল (10) পরীক্ষার পর প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে ডিপ্লোমা কলেজগুলিতে ভর্তি হওয়া যায়। অনেক শিক্ষার্থীই উচ্চমাধ্যমিকের পরও প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে এই Diploma in Chemical Engineering কোর্সে ভর্তি হয়।
প্রবেশিকা পরীক্ষা ছাড়াও কিছু প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় নম্বরের ভিত্তিতে ডাইরেক্ট ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়।
প্রবেশিকা পরীক্ষা – ভারতবর্ষে ডিপ্লোমা বা পলিটেকনিক কোর্সে ভর্তির জন্য রাজ্যভিত্তিক প্রবেশিকা পরীক্ষা আয়োজিত হয়। পশ্চিমবঙ্গে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য JEXPO প্রবেশিকা পরীক্ষাটিতে উত্তীর্ণ করতে হয়।
এই প্রবেশিকা পরীক্ষার আয়োজক The West Bengal Joint Entrance Examination Board, প্রতি বছরে একবার করে এই পরীক্ষা হয়। এই প্রবেশিকা পরীক্ষাটি অফলাইন মোডে পরিচালিত হয় এবং MCQ ধরনের প্রশ্ন আসে।
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্সের সময়সীমা কত?
এই কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্সের সময়সীমা মোট 3 বছর এবং মোট ছয়টি সেমিস্টার (semester)-এ ভাগ করা থাকে।
আরো পড়ুন – Diploma in Computer Science Engineering | কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিপ্লোমা কোর্স
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ডিপ্লোমা) কোর্স কোথায় পড়ানো হয়?
পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষে বেশ কিছু পলিটেকনিক কলেজে রয়েছে, যেখানে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্স পড়ানো হয়।
কিছু স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- Dr Meghnad Saha Institute of Technology, Haldia
- Hooghly Institute of Technology, Hooghly
- Techno India University, Kolkata
- International Institute of Management and Technical (IIMT) Studies, Kolkata
- Contai Polytechnic College, Contai
- Uluberia Government Polytechnic, Howrah
- Indian Institute of Technology (IIT) Gandhinagar
- Institute of Chemical Technology, Mumbai
- Guru Nanak Dev Polytechnic College,Delhi ইত্যাদি।
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা (Diploma) কোর্সে কোন কোন বিষয় পড়তে হয়?
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্সের পড়ার বিষয়গুলি হল –
- Strength of Materials
- Polymer Chemistry
- Engineering Mathematics
- Engineering Drawing
- Fluid Flow and Heat Transfer
- Technology of Inorganic Chemicals
- Chemical Reaction Engineering
- Chemical Engineering Thermodynamics
- Petroleum Refining and Petrochemicals ইত্যাদি।
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ডিপ্লোমা) কোর্সের ফি কত?
ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোর্স ফি ভিন্ন ভিন্ন। আমরা একটি ধারণা দেবার চেষ্টা করলাম।
সরকারী – 10,000 থেকে 1 লাখ টাকা
বেসরকারি – 50,000 থেকে 2 লাখ টাকা
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ডিপ্লোমা) কোর্স করে কি ধরনের চাকরি পাওয়া যেতে পারে?
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ডিপ্লোমা) কোর্স করে যে ধরণের পদে নিযুক্ত হওয়া যায়, তা হল –
- Chemical Engineer
- Process Engineer
- Associate Scientist
- Plant Operator
- Field Operator
- Technical Service Representative
- Maintenance technician ইত্যাদি
আরো পড়ুন – Diploma in Mechanical Engineering | মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিপ্লোমা কোর্স
কিছু বিখ্যাত নিয়োগকারী সংস্থা হল –
- Gas Authority India Ltd (GAIL)
- Steel Authority of India Limited (SAIL)
- Coal India Limited (CIL)
- Piramal Healthcare Limited
- GlaxoSmithKline
- Pfizer Inc. ইত্যাদি।
খাদ্যপণ্য উৎপাদন থেকে কম্পিউটারের মাইক্রোচিপ উৎপাদন, সর্বত্রই এই বিদ্যা ব্যবহার হয়, আর আগামীদিনে উৎপাদন শিল্পের ব্যবহার যে বৃদ্ধি পাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বলা যায় যোগ্য কেমিক্যাল ইঞ্জিনায়ারদের ভবিষ্যৎ যথেষ্ট উজ্জল। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্স করার পর প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে। দেশে-বিদেশে কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
আরো পড়ুন – B.Tech in Chemical Engineering | কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিটেক কোর্স
পর্ব সমাপ্ত!
বিশেষ দ্রষ্টব্য
- এই নিবন্ধে ব্যবহৃত তথ্য ইন্টারনেট, সংবাদ পত্র, পত্রিকা, প্রকাশিত রিপোর্ট ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। নিবন্ধে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোর্সের নাম ইত্যাদি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যাপারে আরো জানার জন্য এই পাতাটি পড়ে নেবার অনুরোধ রইল → Disclaimer।
- নিবন্ধটি আমরা যথাসম্ভব ত্রুটি মুক্ত রাখার চেষ্টা করেছি, তথ্যে কোনরূপ ত্রুটি চিহ্নিত হলে তা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হিসাবে গণ্য হবে, চিহ্নিত ত্রুটি এই পাতা থেকে তা আমাদের জানানো যেতে পারে → Report an error।