Category – Profession
বর্তমান যুগ এখন পুরোটাই মোবাইল নির্ভরশীল। মোবাইল আর ইন্টারনেট মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য হয়ে উঠেছে। মোবাইল ও ইন্টারনেটের ব্যবহারের কিছু খারাপ দিক থাকলেও, আধুনিক পৃথিবীতে মোবাইল ও ইন্টারনেটের ব্যবহার মানুষের জীবনযাত্রাকে আরো সহজ করে তুলেছে। আধুনিক যুগকে আর আধুনিক করে দিয়েছে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন একটি দরকারি বস্তু হলেও, মোবাইল কিন্তু আমরা সবথেকে বেশি ব্যবহার করি বিনোদনের জন্যে।
মোবাইল, কম্পিউটার বা স্মার্ট টিভিতে ভিডিও দেখার একটি অন্যতম প্লাটফর্ম হল Youtube (ইউটিউব). সব স্মার্ট ফোনেই এই অ্যাপ রয়েছে। বর্তমানে টিভির জনপ্রিয়তা কমে গিয়ে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গিয়েছে। আজকাল আমরা ট্রেনে, বাসে, অথবা কাজের ফাঁকে দিনের হাজারও ব্যস্ততার মাঝেও মোবাইল ফোনে ইউটিউব ব্যবহার করে জীবনে বিনোদনের চাহিদা পূরণ করি।
সবথেকে বড় ব্যপার এই ইউটিউব বহু মানুষকে নিজের জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত ও উপার্জন করার সুযোগ করে দিয়েছে। আপনিও কি ইউটিউবের মাধ্যমে উপার্জন করতে চান? তাহলে আমাদের এই লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ুন এবং আপনিও একজন সফল Youtuber (ইউটিউবার) হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা পান।
আমাদের Facebook পেজ লাইক করার অনুরোধ রইল। ↓
Table of Contents
Youtuber (ইউটিউবার) কাদের বলা হয়?
বিনোদন দুনিয়ার একটি বড় অংশ হয়ে উঠেছে, Youtube. এই ইউটিউবে হাসি-মজা যেমন রয়েছে সেরকমই বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিও রয়েছে। বিভিন্ন মানুষের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিভা রয়েছে, তা প্রকাশ করেই বিভিন্ন ভিডিও তৈরি হয়। আর এই ভিডিও যারা তৈরি করেন তাদের Youtuber (ইউটিউবার) বলা হয়।
আরো পড়ুন – Reporter as Profession | রিপোর্টার কিভাবে হওয়া যায়?
ইউটিউবার কিভাবে হওয়া যায়?
সফল ইউটিউবার হওয়ার জন্য কয়েকটি ধাপ নীচে উল্লেখ করা হল –
1) কি ধরণের ভিডিও বানাবেন তা ঠিক করা (niche selection)
ইউটিউবে নানা ধরণের ভিডিও দেখা যায়। প্রথমে আপনি ভাবুন কি ধরণের ভিডিও বানাতে আপনি সচ্ছন্দ বোধ করবেন কারণ ভালোবাসা ছাড়া কোনভাবেই আপনি সফল হতে পারবেন না। তাই আপনি কি ধরনের ভিডিও বানাবেন তা ঠিক করতে হবে আপনার ভালোলাগার বিষয়গুলির উপর লক্ষ্য রেখে। যদি শুধুমাত্র ভিউজ বেশি আসবে ভেবে ভিডিও বানাতে শুরু করেন, সেক্ষেত্রে আপনি খুব অল্প দিনের মধ্যেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
2) টেকনিক্যাল ধারণা (technical knowledge)
ভিডিওর কাজ শুরু করার আগেই ভাবুন কিভাবে ভিডিওটি শুট করবেন, কিভাবে তা এডিট করবেন। শুরুতে ক্যামেরা বা অন্যান্য উপকরণ কেনার প্রয়োজন নেই, আপনি আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই কাজ শুরু করতে পারেন। চ্যানেল বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনি বিভিন্ন উপকরণ এই বিষয়ে ধারণা নেবার জন্য আপনি অন্যান্য ভিডিও দেখে টেকনিক্যাল বিষয়গুলি শিখে নিতে পারেন।
আরো পড়ুন – Modeling as Profession | মডেল কিভাবে হওয়া যায়?
3) নতুন চ্যানেল খোলা (create a new channel)
এবার আপনি আপনার চ্যানেলের জন্য একটি নাম ভাবুন। চেষ্টা করবেন আপনার চ্যানেলের নাম যেন ছোট হয় এবং তা যেন খুব সহজেই মনে রাখা যায়। এবার আপনি চ্যানলে খুলে ফেলুন। এই বিষয়ে আপনি YouTube থেকে ভিডিও দেখে নিতে পারেন।
4) সঠিক পরিকল্পনা (planning)
একটা বা দুটো ভিডিও করেই কিন্তু থেমে থাকলে চলবে না। YouTube থেকে সাফল্য পাবার অন্যতম উপায় হল ধারাবাহিকতা। সুতরাং পর পর কি কি ভিডিও তৈরি করবেন তার লিস্ট ও সময়সূচী তৈরি করতে হবে।
;
5) থাম্বনেইল, টাইটেল ও ডেসক্রিপশন (thumbnail, title and description)
YouTube প্ল্যাটফর্মে উন্নতি করতে হলে আপনাকে এই তিনটে বিষয়ের কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
6) পারফর্মেন্স লক্ষ্য করা (performance analysis)
আপনার ভিডিওগুলিতে কেমন ভিউজ আসছে, কত সময় ধরে দর্শকরা দেখছেন এবং কি পরামর্শ দিচ্ছেন, এইগুলি দেখে আপনার ভিডিওকে আরো উন্নত করুন।
আপনার ভিডিও ও কনটেন্ট যদি সকলের ভালোলাগে তাহলে আপনি দ্রুত একজন সফল ইউটিউবার হয়ে উঠবেন।
ইউটিউবার হওয়ার জন্য কি যোগ্যতার প্রয়োজন?
ইউটিউবার হওয়ার জন্য বিশেষ কোনো যোগ্যতা প্রয়োজন হয় না। যে কোনো বয়সের মহিলা ও পুরুষ উভয়েই ইউটিউবার হওয়ার জন্য যোগ্য। আপনি যে বিষয়ে ভিডিও তৈরি করবেন সেই বিষয়ে ভালোলাগা থাকা প্রয়োজন, যেমন – আপনি যদি রান্নার ভিডিও তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে রান্না করা বিষয়টিকে ভালবাসতে হবে।
মোবাইল, ইন্টারনেট সম্পর্কে জানতে হবে। ভিডিও করা ও এডিট করা জানা আবশ্যক। তবে এডিট করার জন্য আপনি নিজে বা কোনো ভিডিও এডিটরও নিয়োগ করতে পারেন।
আরো পড়ুন – Translator as Profession | ট্রান্সলেটর কিভাবে হওয়া যায়?
একজন সফল Youtuber হওয়ার জন্য কি কি দক্ষতা থাকা প্রয়োজন?
একজন সফল Youtuber হওয়ার জন্য যে যে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন, তা হল –
- সৃজনশীলতা
- চিন্তা-ভাবনা করার দক্ষতা
- সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল করার দক্ষতা ইত্যাদি।
আরো পড়ুন – Radio Jockey as Profession | রেডিও জকি কিভাবে হওয়া যায়?
ইউটিউব পেশার ভবিষ্যৎ কেমন?
বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় পেশা। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নতুন দিক উঠে এসেছে। অফিস, বাড়ির কাজের ফাঁকে সময় বের করে আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন ইউটিউবার এবং এখান থেকেই নিজের উপার্জন শুরু করতে পারবেন। বর্তমানে বহু মানুষ এটিকেই একমাত্র কেরিয়ার বা পেশা করে তুলছে। ভালোভাবে করতে পারলে এই পেশায় সফলতা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ইউটিউবে আয় কেমন?
এই পেশার আয় নির্ভর করে দর্শকদের উপর। যত বেশি মানুষ আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখবেন ও তাতে কিল্ক করবেন, আপনার তত বেশি আয় হবে। এছাড়াও ইউটিউবের ভিডিওতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন থেকে উপার্জন করা যায়।
আরো পড়ুন – ভয়েস আর্টিস্ট কিভাবে হওয়া যায় | ভয়েস আর্টিস্ট পেশার খুঁটিনাটি | Voice Artist as Profession
পর্ব সমাপ্ত!
নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য ফলো করুন ↓
WhatsApp Channel | Telegram Channel | Facebook Page
বিশেষ দ্রষ্টব্য
- এই নিবন্ধে ব্যবহৃত তথ্য ইন্টারনেট, সংবাদ পত্র, পত্রিকা, প্রকাশিত রিপোর্ট ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। নিবন্ধে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোর্সের নাম ইত্যাদি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যাপারে আরো জানার জন্য এই পাতাটি পড়ে নেবার অনুরোধ রইল → Disclaimer।
- নিবন্ধটি আমরা যথাসম্ভব ত্রুটি মুক্ত রাখার চেষ্টা করেছি, তথ্যে কোনরূপ ত্রুটি চিহ্নিত হলে তা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হিসাবে গণ্য হবে, চিহ্নিত ত্রুটি এই পাতা থেকে তা আমাদের জানানো যেতে পারে → Report an error।