Category – Profession
জিম বা Gym শব্দটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। জিম হল এমন একটি স্থান যেখানে ফিজিকাল ফিটনেসের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং তার জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্য নেওয়া হয়। জিম কথাটি প্রচলিত হলেও এর আরও কয়েকটি নাম রয়েছে, যেমন – হেলথ ক্লাব, ফিটনেস সেন্টার, হেলথ স্পা, ফিটনেস ক্লাব ইত্যাদি।
যদি ইতিহাসের দিকে তাকাই দেখব, আজ থেকে প্রায় 3000 বছর আগে পারস্যের কিছু অঞ্চলের অধিবাসীরা প্রথম ফিজিকাল ফিটনেসের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন।
স্কুলে পড়াশোনা শেখানোর জন্য যেমন টিচার বা শিক্ষক রয়েছেন, তেমনই জিমে ট্রেনিং বা বিভিন্ন শারীরিক ব্যায়াম (Exercise) শেখানোর জন্যও শিক্ষক থাকেন, যারা জিম ট্রেনার নামে পরিচিত।
Table of Contents
জিম ট্রেনার (Gym Trainer) কাদের বলা হয়?
এক কথায় বলতে গেলে, জিমে যারা আমাদের ট্রেনিং দেয় তারাই জিম ট্রেনার। ফিজিকালি ফিট থাকার জন্য যারা আমাদের শরীর চর্চার বিভিন্ন উপায় শেখায় ও ফিট থাকতে সাহায্য করে, তাদের জিম ট্রেনার বলা হয়।
আরো পড়ুন – Yoga Science | যোগা কোর্স
জিম ট্রেনাররা কি ধরনের কাজ করেন?
বিভিন্ন মানুষ জিমে আসেন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায়। সেইসব সমস্যা বুঝে তার জন্য প্রয়োজনীয় সঠিক ব্যায়াম বা শারীরিক কসরত শেখানো এবং সমস্যা সমাধানে সাহায্য করাই তাদের প্রধান কাজ। ফিজিকালি ফিট থাকার জন্য এনারা ডায়েট চার্টও বানিয়ে দেন।
জিম ট্রেনার হবার জন্য কি যোগ্যতার প্রয়োজন?
জিম ট্রেনার হওয়ার জন্য বিশেষ কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন হয় না। তবে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল (10+2) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কয়েকটি ফিটনেস সংক্রান্ত সার্টিফিকেট কোর্স রয়েছে সেগুলির মধ্যে যে কোনো একটি করা যেতে পারে, সেগুলি হল –
- International Fitness Professionals Association Personal Fitness Training Certification
- Certified Personal Trainer Certification
- Certification in Practical Training in Gym ইত্যাদি।
আরো পড়ুন – ডায়েটিশিয়ান পেশার খুঁটিনাটি | Dietician as Profession
একজন সফল জিম ট্রেনার হওয়ার জন্য কি কি দক্ষতা থাকা প্রয়োজন?
একজন সফল জিম ট্রেনার হওয়ার জন্য কিছু বিশেষ দক্ষতা থাকা প্রয়োজন, সেগুলি নীচে দেওয়া হল –
- সর্বাগ্রে নিজেকে ফিজিকালি ফিট রাখা
- শারীরবিদ্যা সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান
- বিভিন্ন জিমের যন্ত্রপাতি সম্পর্কে জানা ইত্যাদি।
এই পেশার ভবিষ্যৎ কেমন?
বর্তমানে মানুষ স্বাস্থ্যসচেতন। এই ব্যস্ততার যুগে মানুষের সময়ের বড্ড অভাব। তার ফলে মানুষ প্রাথমিক শরীর চর্চার সময় পায় না। বহুক্ষেত্রেই শরীর চর্চা বহু মানুষ শুরু করলেও নিয়মিত তা করে না। তাই নিয়মিত শরীর চর্চার মধ্যে থাকতে সারাদিনের বহু ব্যস্ততার মধ্যেও অনেকেই জিমে যান এবং জিমকে দৈনন্দিন রুটিনের মধ্যে রেখে দিয়েছে।
বর্তমানে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী জিমের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তার ফলে জিম ট্রেনারদের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এই পেশার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
আরো পড়ুন – Airhost/Airhostess | Cabin Crew
এই পেশায় কেমন বেতন পাওয়া যেতে পারে?
অভিজ্ঞতা ও কর্মস্থানের উপর নির্ভর করে বেতন ক্রমশ পরিবর্তিত হয়। একজন জিম ট্রেনারের বার্ষিক আয় সাধারণত 2-5 লাখ টাকা হয়।
পর্ব সমাপ্ত!
বিশেষ দ্রষ্টব্য
- এই নিবন্ধে ব্যবহৃত তথ্য ইন্টারনেট, সংবাদ পত্র, পত্রিকা, প্রকাশিত রিপোর্ট ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। নিবন্ধে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোর্সের নাম ইত্যাদি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যাপারে আরো জানার জন্য এই পাতাটি পড়ে নেবার অনুরোধ রইল → Disclaimer।
- নিবন্ধটি আমরা যথাসম্ভব ত্রুটি মুক্ত রাখার চেষ্টা করেছি, তথ্যে কোনরূপ ত্রুটি চিহ্নিত হলে তা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হিসাবে গণ্য হবে, চিহ্নিত ত্রুটি এই পাতা থেকে তা আমাদের জানানো যেতে পারে → Report an error।