Category – Profession
Table of Contents
টিচার বা শিক্ষক/শিক্ষিকা কাদের বলা হয়?
প্রাচীনকাল থেকেই গুরু বা শিক্ষককে ঈশ্বরের সমতুল ধরা হত। এই পেশায় অর্থ রোজগারের থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানবতা, মূল্যবোধ, নিষ্ঠা ইত্যাদি বিষয়গুলি। এই পেশায় সামান্য ত্রুটি সমাজের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে। তাই শিক্ষকতা একটি মহান পেশা, যার মাধ্যমে সমাজের পরিবর্তন ঘটানো যায়।
পিতা মাতার পরেই মানুষের জীবনে যার বা যাদের প্রভাব সর্বাধিক তারা হলেন শিক্ষক/শিক্ষিকা। বিদ্যালয়ে যাঁরা ছাত্রছাত্রীদের জীবন গঠনের দায়িত্ব পালন করেন, তারাই শিক্ষক/শিক্ষিকা।
[বিঃ দ্রঃ যে কোনো বিষয়ে শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দান করাই শিক্ষকতা। কিন্তু আমরা এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র পড়াশোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখব।]
টিচাররা কি ধরনের কাজ করেন?
শিক্ষকরা মূলত স্কুল ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান দান করে তাদের মানসিক সমৃদ্ধি ঘটান। শুধুমাত্র পড়ানোই নয়, ছাত্রছাত্রীদের চরিত্র গঠনে সহায়তা করা শিক্ষক/শিক্ষিকাদের কাজ।
শিক্ষক/শিক্ষিকা হওয়ার জন্য কি যোগ্যতার প্রয়োজন?
সরকারী বা বেসরকারি বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষক/শিক্ষিকা মূলত দুইভাবে হওয়া যায়।
প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক হওয়ার জন্য ন্যূনতম উচ্চমাধ্যমিক (বা 10+2 সমতুল) উত্তীর্ণ হয়ে D.El.Ed কোর্স করা আবশ্যক।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক হওয়ার জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক উত্তীর্ণ হয়ে B.Ed কোর্স করা আবশ্যক।
সরকারী বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে D.El.Ed ও B.Ed কোর্স করা থাকলে TET (S) ও CTET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষক/শিক্ষিকা হওয়া যায়।
B.Ed কোর্স সম্পর্কে জেনে নাও – B.Ed কোর্স কি?
একজন সফল টিচার হওয়ার জন্য কি কি দক্ষতা থাকা প্রয়োজন?
একজন সফল টিচার হওয়ার জন্য কিছু দক্ষতা থাকা প্রয়োজন –
- একজন শিক্ষকের উপর সমাজ গড়ার দায়িত্ব থাকে, তাই শিক্ষকের মূল্যবোধ থাকা আবশ্যক।
- শিক্ষকতাকে অর্থ রোজগারের উপায় হিসাবে না দেখে তা ছাত্রছাত্রীদের জীবন গঠনের মাধ্যম হিসাবে দেখার মানসিক শক্তি থাকা প্রয়োজন।
- কিশোর/কিশোরীদের অপরিণত মন বোঝার ক্ষমতা থাকা আবশ্যক।
- একজন প্রকৃত শিক্ষক তিনিই, যিনি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভেদাভেদ করেন না।
- ধৈর্যশীলতা শিক্ষকতার অংশ।
- একজন শিক্ষকের মধ্যে অবশ্যই ছাত্রছাত্রীদের সহজভাবে পড়া বোঝানোর দক্ষতা থাকা প্রয়োজন।
- শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের চোখে দৃষ্টান্ত, তাই যে-কোনো রকম অসততা বা অসামাজিক আচরণ বর্জনীয়।
এই পেশার ভবিষ্যৎ কেমন?
শিক্ষার আলোই পারে যে কোনো দেশের ভবিষ্যৎকে সুগঠিত করতে। ভারতবর্ষ একটি উন্নয়নশীল ও জনবহুল দেশ, সার্বিক উন্নয়নের জন্য তাই স্কুলের প্রয়োজন এদেশে ক্রমবর্ধমান, আর একই সাথে সেই সব স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের সুশিক্ষিত করে তোলার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষক/শিক্ষিকার। তাই এই মহৎ পেশাটি প্রাচীনযুগ থেকে আজও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং এই পেশার ভবিষ্যৎ দেশ-বিদেশ সর্বত্রই খুবই উজ্জ্বল।
আরো পড়ুন – কিন্ডারগার্টেন টিচার কিভাবে হওয়া যায়?
এই পেশায় কেমন বেতন পাওয়া যেতে পারে?
একজন প্রাইমারি স্কুল টিচার মাসে প্রায় 5,000 থেকে 25,000 টাকা বেতন পেয়ে থাকেন।
আর একজন হাই স্কুল টিচার মাসে প্রায় 10,000 থেকে 60,000 টাকা বেতন পেয়ে থাকেন।
অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন স্কুলের সাথে সাথে বেতন পরিবর্তিত হয়।
পর্ব সমাপ্ত!
নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য ফলো করুন ↓
WhatsApp Channel | Telegram Channel | Facebook Page
বিশেষ দ্রষ্টব্য
- এই নিবন্ধে ব্যবহৃত তথ্য ইন্টারনেট, সংবাদ পত্র, পত্রিকা, প্রকাশিত রিপোর্ট ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। নিবন্ধে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোর্সের নাম ইত্যাদি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যাপারে আরো জানার জন্য এই পাতাটি পড়ে নেবার অনুরোধ রইল → Disclaimer।
- নিবন্ধটি আমরা যথাসম্ভব ত্রুটি মুক্ত রাখার চেষ্টা করেছি, তথ্যে কোনরূপ ত্রুটি চিহ্নিত হলে তা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হিসাবে গণ্য হবে, চিহ্নিত ত্রুটি এই পাতা থেকে তা আমাদের জানানো যেতে পারে → Report an error।