How to write cv?
Category – Tips

CV এই ডকুমেন্টটির সাথে আমরা প্রায় সবাই পরিচিত। কিভাবে সঠিক নিয়মে CV লিখবে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।

CV কি?

CV (সিভি) সম্পূর্ণ কথা বা ফুল ফর্ম হল Curriculum Vitae (কারিকুলাম ভিটা)। সিভিকে বহুসময় বায়োডাটাও বলা হয়।

CV (সিভি) হল এমন একটি ডকুমেন্ট, যা আমাদের কর্মজীবনের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। CV-তে শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা ও কাজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে লেখা থাকে।

কেন CV লেখা হয়?

পড়াশোনার শেষ হওয়ার চাকরী করা বা উচ্চশিক্ষার জন্য CV বানানো হয়। চাকরি পাবার জন্য সাধারণত আমাদের বিভিন্ন চাকরীস্থলে আবেদন করতে হয়, এর জন্য আমাদের প্রয়োজন একটি সঠিক CV। নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়ার জন্য CV লেখা হয়।

CV লেখার নিয়ম

CV সুন্দর এবং সহজ-সরল হবে, একেবারেই জটিল হবে না। তোমার CV দেখে ইন্টারভিউয়াররা খুব সহজেই যেন তোমার সম্পর্কে সহজেই জেনে নিতে পারে। তাই CV তে কি কি লেখা হয়, তা নীচে দেওয়া হল –

1) ব্যক্তিগত তথ্য (Personal Information) – তোমার পুরো নাম, ফোন নাম্বার, ইমেল এবং ঠিকানা দিয়ে সিভি শুরু করো। সম্ভব হলে নিজের একটা ছবি CV তে দিতে পারো।

2) সারাংশ (Summary) – তোমার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কর্মজীবনের লক্ষ্যগুলিকে হাইলাইট করে তিন-চার লাইনের একটি সংক্ষিপ্ত অনুচ্ছেদ লেখো। যে নির্দিষ্ট চাকরির জন্য আবেদন করছ, তার জন্য সাজিয়ে অনুচ্ছেদ লিখতে হবে।

3) দক্ষতা (Skills) – যে কাজের জন্য তুমি আবেদন করছো, সেই সম্পর্কিত কিছু দক্ষতা লেখ, যেমন – যদি তুমি কোন কল সেন্টারের চাকরীর জন্য আবেদন করো তাহলে সিভিতে কমিউনিকেশন স্কিল সম্পর্কে লিখতেই হবে, আবার তুমি যদি রিটেল সংক্রান্ত কোন চাকরীর জন্য আবেদন করো তাহলে লিডারশিপ কোয়ালিটি সম্পর্কে তোমাকে উল্লেখ করতেই হবে।

4) কর্ম অভিজ্ঞতা – তোমার সাম্প্রতিক কাজের অবস্থান থেকে শুরু করে পূর্ববতী কাজের ইতিহাস লেখো। প্রতিটি চাকরিতে তোমার কি ডেসিগনেশন ছিল, কোম্পানি/সংস্থার কি নাম ছিল, কর্মসংস্থানের তারিখ অর্থাৎ কত দিন ঐ সংস্থায় কাজ করেছ এবং তুমি কি কি দায়িত্ব পালন করেছ তার একটি ছোট বর্ণনা দেবে। যদি কোন বিশেষ কৃতিত্বের কাজ করে থাকো, সেক্ষেত্রে আলাদা করে তা উল্লেখ করতে পারো। যদি পূর্ববর্তী কোন কাজের অভিজ্ঞতা না থাকে তাদের অংশটি কিছু লেখার দরকার নেই।

5) শিক্ষাগত যোগ্যতা – তোমার শিক্ষাগত যোগ্যতা শেষ থেকে শুরু করো অর্থাৎ যদি তুমি স্নাতক উত্তীর্ণ হও, সেক্ষেত্রে প্রথমে স্নাতক, তারপর উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাধ্যমিক এভাবে সাজাতে হবে। কলেজ এবং স্কুলের নাম, অর্জিত ডিগ্রী, তারিখ বা সাল এবং যে কোনো একাডেমিক সম্মান বা অর্জন সঠিক ভাবে লেখ।

6) সার্টিফিকেট (Certificate) – তুমি যদি কোনো সার্টিফিকেশন কোর্স যেমন – কম্পিউটার সম্পর্কিত বিভিন্ন সার্টিফিকেট কোর্স, স্পোকেন ইংলিশ ইত্যাদি করে থাকো তাহলে তা উল্লেখ করো।

7) ভাষা বা ল্যাঙ্গুয়েজ (Language) – তুমি কোন কোন ভাষা বলতে ও লিখতে পারো তা লেখ এই সেকশনে।

8) বিশেষ পারদর্শিতা (Hobby) – তোমার কোন শখ থাকলে তা লিখতে পারো। তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন খুব সাধারণ না হয় এবং কোনভাবেই মিথ্যা কথা যেন লেখা না হয়। ধরো, তুমি লিখলে তোমার শখ গিটার বাজানো, কিন্তু তুমি যদি গিটার সম্পর্কে কিছু জানো না, এটা যেন না হয়।

সিভির ছবি | CV Image

তোমাদের বোঝার জন্য একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তির একটি সিভির নমুনা দেওয়া হল –

CV Image
একটি CV-র নমুনা

CV 1 থেকে 2 পাতার বেশি হবে না। যদি আগে কাজের কোন অভিজ্ঞতা না থাকে সেক্ষেত্রে CV একপাতার মধ্যে হলে ভালো হয়। CV তৈরি করার পর অতি অবশ্যই বানান বা স্পেলিং (Spelling) খুব ভালোভাবে চেক করতে হবে।

পর্ব সমাপ্ত!

কেরিয়ার ও ব্যবসা সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন থাকলে বা কি রকম ধরনের পোস্ট চাইছো, তা নীচের ছবিটায় ক্লিক করে জানাতে পারো↓

careerbondhu-telegram-channel

বিশেষ দ্রষ্টব্য

  • এই নিবন্ধে ব্যবহৃত তথ্য ইন্টারনেট, সংবাদ পত্র, পত্রিকা, প্রকাশিত রিপোর্ট ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। নিবন্ধে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোর্সের নাম ইত্যাদি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যাপারে আরো জানার জন্য এই পাতাটি পড়ে নেবার অনুরোধ রইল → Disclaimer
  • নিবন্ধটি আমরা যথাসম্ভব ত্রুটি মুক্ত রাখার চেষ্টা করেছি, তথ্যে কোনরূপ ত্রুটি চিহ্নিত হলে তা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হিসাবে গণ্য হবে, চিহ্নিত ত্রুটি এই পাতা থেকে তা আমাদের জানানো যেতে পারে → Report an error
error: Content is protected !!