Category – Profession
বর্তমান যুগ দ্রুততার যুগ।
প্রযুক্তির আশীর্বাদে আজকের দিনে গোটা পৃথিবী আমাদের হাতের মুঠোয় বন্দী। যে কোনো সমস্যার দ্রুত সমাধান এখন বাড়ি বসে সম্ভব। মানুষে মানুষে সংযোগ রক্ষায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তির পাশাপাশি একদল মানুষের ভূমিকা বিরাট।
প্রোডাক্ট সেলিং থেকে শুরু করে, কাস্টমার কেয়ার এছাড়াও অনলাইন বুকিং (সার্ভিস) ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ আমরা যাদের সাহায্যে খুব সহজেই করতে পারি তারা হলেন টেলিকলার।
আমাদের Facebook পেজ লাইক করার অনুরোধ রইল। ↓
Table of Contents
টেলিকলার (Telecaller) কাদের বলা হয়?
কোনো কোম্পানিতে আমরা যাদের সাহায্যে যোগাযোগ করে থাকি তাদের টেলিকলার বলে। কোম্পানির ব্যবসা বিস্তার করতে, কোম্পানির ভালো/মন্দ ফিডব্যাক নিতে এবং কাস্টমারদের কোম্পানিগত সমস্যা সমাধান করা ইত্যাদি কাজ যারা করে থাকেন তাদের টেলিকলার বলা হয়।
টেলিকলাররা কি ধরনের কাজ করেন?
আমাদের অনেকেরই টেলিকলার শুনে প্রথমেই মাথায় আসে প্রোডাক্ট সেলিং। কিন্তু প্রোডাক্ট সেল করাটাই টেলিকলারদের একমাত্র কাজ নয়, কাস্টমারদের সাথে কথা বলে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সংক্রান্ত সমস্যা বা তাদের থেকে প্রোডাক্টের ফিডব্যাক নেওয়াও টেলিকলারদের অন্যতম কাজ।
এক কথায় বলতে গেলে টেলিকলারদের কাজ হল কাস্টমারের সাথে কথা বলে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করা।
টেলিকলার হবার জন্য কি যোগ্যতার প্রয়োজন?
বেশির ভাগ কোম্পানি টেলিকলার নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণত গ্র্যাজুয়েশন পাশ প্রার্থী চায় এবং তার সাথে সাথে প্রার্থীর বিভিন্ন ভাষায় (মূলত ইংরাজি, হিন্দি এবং মাতৃভাষা) দক্ষতা আবশ্যক।
কিছু কোম্পানি মাধ্যমিক (10) বা উচ্চমাধ্যমিক (12) প্রার্থীদেরও টেলিকলিং-এর কাজে নিযুক্ত করে। এই কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার আবশ্যক তাই বেসিক কম্পিউটার জানা প্রয়োজন। সারা বছর বিভিন্ন কোম্পানি Walk in Interview পদ্ধতির মাধ্যমে টেলিকলার পোস্টের জন্য কর্মী নিয়োগ করে।
একজন সফল টেলিকলার (Telecaller) হবার জন্য কি কি দক্ষতা থাকা প্রয়োজন?
টেলিকলারের কাজ কি আমরা আগেই জানলাম, সেখান থেকে বোঝাই যাচ্ছে যে এই কাজের জন্য স্মার্টনেসের সাথে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকা প্রয়োজন।
এর সাথে ধৈর্য এবং কাস্টমারের প্রোডাক্ট সংক্রান্ত সমস্যা বোঝার ক্ষমতা থাকাও দরকার।
Delivery Man পেশা সম্পর্কে আলোচনা
এছাড়া বিভিন্ন ভাষার উপর দখল থাকতে হবে যেমন – হিন্দি, ইংরাজি ও বাংলা বা যে জায়গার গ্রাহকদের সাথে কথা হচ্ছে সেখানকার স্থানীয় ভাষা জানতে হবে।
মনে রাখতে হবে গ্রাহক বা যিনি ফোন করেছেন তার সাথে কথা বলে তার সমস্যার সমাধান করাই টেলিকলারদের প্রধান কাজ।
এই পেশার ভবিষ্যৎ কেমন?
আমাদের জীবন এখন সম্পূর্ণভাবে প্রযুক্তি নির্ভর, যে কোনো সমস্যা আমরা বাড়ি বসেই সমাধানের চেষ্টা করি তাই বর্তমান সময়ে এই পেশার ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। প্রায় সকল কোম্পানিতেই এই টেলিকলার পদটি রয়েছে এবং এই পদটিতে নিয়মিতভাবে প্রার্থী নিয়োগ হয়।তাই এই পদে চাকরির সুযোগ ক্রমশ বাড়ছে।
এই পেশায় কেমন বেতন পাওয়া যেতে পারে?
এই পেশার শুরুতে বেতন 7,000 – 15,000 টাকা হয়ে থাকে। তবে কাজের ধরণ এবং জায়গার উপর ভিত্তি করে বেতন বৃদ্ধি বা হ্রাস পেতে পারে। এটি ফ্রেশার্সদের জন্য ভীষণ উপযুক্ত একটি পেশা। তবে এই কাজটি টার্গেট বেসড। এই পেশায় অভিজ্ঞতার সাথে সাথে বেতন বৃদ্ধি পায়।
পর্ব সমাপ্ত!
নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য ফলো করুন ↓
WhatsApp Channel | Telegram Channel | Facebook Page
বিশেষ দ্রষ্টব্য
- এই নিবন্ধে ব্যবহৃত তথ্য ইন্টারনেট, সংবাদ পত্র, পত্রিকা, প্রকাশিত রিপোর্ট ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। নিবন্ধে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোর্সের নাম ইত্যাদি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যাপারে আরো জানার জন্য এই পাতাটি পড়ে নেবার অনুরোধ রইল → Disclaimer।
- নিবন্ধটি আমরা যথাসম্ভব ত্রুটি মুক্ত রাখার চেষ্টা করেছি, তথ্যে কোনরূপ ত্রুটি চিহ্নিত হলে তা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হিসাবে গণ্য হবে, চিহ্নিত ত্রুটি এই পাতা থেকে তা আমাদের জানানো যেতে পারে → Report an error।